
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়ার বিরুদ্ধে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সোহানুর রহমান আদালতে এই আবেদন করেন। লাক মিয়া সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর ক্যাশিয়ার হিসাবে পরিচিত।
দুদক পরিচালকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন (গালিব) আগামী ৯ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন। আসামি লাক মিয়ার উপস্থিতিতে তাকে গ্রেফতার দেখানোর শুনানি হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
গ্রেফতার দেখানোর আবেদনে দুদক পরিচালক উল্লেখ করেন, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভিজিডি, ভিজিএফ, এলজিএসপি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক ভূমিদখল ও মাদক ব্যবসাসহ ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। এর মাধ্যমে তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখেন। সেই সঙ্গে তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানাস্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। লাক মিয়ার দখলে রাখা ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের সম্পত্তি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে লাক মিয়ার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে। আবেদনে বলা হয়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আসামি মো. লাক মিয়া নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার বৈষম্যবিরোধী একটি হত্যা মামলায় জেলহাজতে আটক আছেন। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো প্রয়োজন। তা না হলে আসামি তার উল্লেখিত অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার সুযোগ পাবেন। ৬ মার্চ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।