
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে জায়গা হয়নি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে থাকা রুহুল আমিন শিকদারের।
গত ১৭ বছর রাজপথে সক্রিয় এই নেতার বিরুদ্ধে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক মামলা ছিল। তবুও সরে না গিয়ে আন্দোলনে রাজপথে সবসময়ই সক্রিয় ছিলেন রুহুল আমিন।
পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, আর্থিক কিংবা পেশি শক্তির ঊর্ধ্বে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে পরিচিত রুহুল আমিন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির দলীয় কর্মসূচিগুলোতে রাজপথে থেকে দলকে চাঙ্গা করে রেখেছিলেন রুহুল আমিন। আন্দোলনে সক্রিয় এই নেতাকে আওয়ামী লীগের আমলে ১৪ বার কারাবরণ করতে হয়েছে। দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন তিনি। এছাড়াও আন্দোলন সফল করতে গিয়ে মাসের পর মাস আত্মগোপনে পরিবার পরিজন ছেড়ে থাকতে হয়েছে রুহুলকে।
নারায়ণগঞ্জে জুলাই আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন রুহুল আমিন। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জের থানাগুলোতে দায়েরকৃত ৩৩টি মামলার মধ্যে ৩২ মামলায় আসামির তালিকায় ছিল রুহুলের নাম। এ আন্দোলন সফল না হলে রুহুলের মত বিএনপি নেতাকর্মীদের জীবনে যে কালো অন্ধকার নেম আসত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জুলাই আন্দোলনে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে সক্রিয় ছিলেন রুহুল আমিন। সাইনবোর্ডে নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলনের পুরো সময়টাই অবস্থান করেন রুহুল আমিন। পুলিশকে হটিয়ে সাইনবোর্ড এলাকার দখল নিতে বিএনপির যে কয়েকজন নেতাকর্মীরা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন তাদের মধ্যে রুহুল আমিন অন্যতম।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদের সাথে দূরত্বের কারণে রুহুল আমিনকে জেলা বিএনপির কমিটি থেকে মাইনাস করে দেয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় কস্তুরি হোটেলের সামনে ছুরিকাঘাতে আহত হন মামুন মাহমুদ। এঘটনায় রুহুল আমিন সহ নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন মামুন মাহমুদ।
এঘটনার পর মামুন মাহমুদের সাথে বিরোধ তৈরি হয় রুহুল আমিন শিকদারের। মূলত একারণেই কমিটি থেকে রুহুল আমিনকে মাইনাস করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা বিএনপির কমিটিতে পদ না পেয়ে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল আমিন শিকদার। তিনি জানান, আমি বৈষম্যের শিকার হয়েছি। কোন কমিটিই চিরস্থায়ী নয়। ত্যাগীদের ত্যাগ ও ঘামের সাথে অবিচারের ফল কখনও ভাল হয় না।
Mahfuzur