
ফাইল ছবি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পিতা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা আহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ ঘটনাকে স্থানীয় বিরোধের ফলাফল বলে উল্লেখ করেছেন এবং গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, “ঘটনার সূত্রপাত হয় লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান মঞ্জুকে কেন্দ্র করে। মঞ্জু ছাত্রলীগের চিহ্নিত ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত এবং অতীতে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো ও তাদের লক্ষ্মীপুর সদরে প্রবেশে বাধা দেওয়ার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়। গত অক্টোবর মাসে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় মঞ্জুকে ৪৩ নম্বর আসামি করা হয়, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বুধবার মঞ্জু তার সহযোগী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজ বাড়িতে আসলে স্থানীয় জনগণ এবং বিএনপির কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ঘেরাও করে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চান। এসময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পিতা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা এসে মঞ্জুকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। উল্লেখ্য, মঞ্জু ও মাহফুজ আলম চাচাতো ভাই এবং তাদের বাড়ি একই স্থানে অবস্থিত। বিক্ষুব্ধ জনতা মঞ্জুকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময় ছাত্রলীগ, মোল্লা পরিবার ও মঞ্জুর সহযোগীদের সঙ্গে স্থানীয় জনগণের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা আহত হন।”
ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন বলেন, “বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা আহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক, আমরা তার প্রতি সমবেদনা জানাই। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রদলকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা অনভিপ্রেত। এটি মূলত একটি স্থানীয় বিরোধ, যেখানে ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য মিডিয়াকর্মী এবং প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।”