
পরিবারের সাথে জাকির খান
৯৫১ দিন কারাভোগের পর রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আলোচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। সাজা সমাপ্ত ও অন্যান্য জামিনের মুক্তি পাবার রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এ সময় কারাগার প্রধান ফটকের সামনে থেকে হাজারো নেতা-কর্মী ও সমর্থক নিয়ে লিংক রোড হয়ে চাষাড়া ২নং রেলগেইট মন্ডলপাড়া হয়ে দেওভোগ পিতৃক বাড়ীতে যান তিনি। এ সময় বাড়ির সামনে দাদা সাকিম আলী ও বাবা দৌলত হোসেন খানের কবর জিয়ারত শেষে মা আছিয়া খানমের বুকে গেলে আবেগ আপ্লুত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ছেলেকে ২২ বছর পর বুকে পেয়েছে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মা আছিয়া খানম। ওই সময় পাশে জাকির খানের স্ত্রী, তিন ভাই, ছেলে-ভাতিজা চোখে পানিতে কান্নায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
জাকির খানের মা আছিয়া খানম বলেন, মৃত্যুর আগে ছেলেকে পেয়েছি মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আজ থেকে আমার সকল ছেলেরা সামনে থাকবে-এর চেয়ে আনন্দ আর কিছু হতে পারে না। জাকির কোন সময়ে অপরাধ করতে পারে না। ওর উপর হিংসা করে আমার বুক থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
এদিকে বাবা কে পেয়ে ছেলে কারগিল খান বলেন, আজ পৃথিবীর সবচেয়ে দামি জিনিস পেয়েছি। বাবা কখনো প্রকাশ্যে বুকে ধরতে পারি নাই। আজ বাবা (জাকির খান) কে নিয়ে হাজারো হাজারো ভালোবাসা মানুষ নিয়ে পেয়েছি। সকল বাবাদের কাছে আমার বাবা’র জন্য দোয়া চাই।
অন্যদিকে কারামুক্ত জাকির খান বলেন, দীর্ঘ বছর পর আজ আমার মা’র হাতে ভাত খাবো। মাকে দেখে আজ পৃথিবীর সুন্দর্য দেখতে পাচ্ছি। নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে আমি চির ঋণী হয়ে পড়েছি। আমার শরীরের চামড়া কেটে দিলেও সেই ঋণ শোধ করা সম্ভব না। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। সকল নেতা-কর্মী ও সমর্থক কাছে আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়া রইল।