
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জে আবারও সক্রিয় হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পাঁচ আগষ্টের পতনের পর রাজপথে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া দলটির নেতাকর্মীরা। আড়াইহাজারে কৃষকলীগের মিছিলের পর দলটির নেতাকর্মীরা শহরকেন্দ্রিক শোডাউনের পরিকল্পনা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরই মাঝে সোমবার (২১ এপ্রিল) সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের মিছিল হয়েছে।
পাঁচ আগষ্টের পর দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে। এই সুযোগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা। আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতারাও দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়েছেন। তবে শহরে এখনও তাদের বিশাল কর্মী বাহিনী রয়ে গেছে।
পাঁচ আগষ্টের বিপ্লবের পর গত জানুয়ারি মাসে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিসি অফিসের সামনে সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানে রাতে পোস্টার লাগায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শহরের সরকারি তোলারাম কলেজের গেইটের সামনেও পোস্টার লাগায় তারা৷ একসময় এই তোলারাম কলেজ থেকেই ওসমান পরিবারের অনুগতরা নারায়ণগঞ্জ শহরের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করত। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় এই কলেজ থেকেই সন্ত্রাসীরা ছাত্র জনতার ওপর হামলা চালায়।
এদিকে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ থাকলেও এখন পর্যন্ত এঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রশাসনের ব্যার্থতার কারণেই আওয়ামী লীগ রাজপথে সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেছেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা।
পোস্টার কান্ডের পর পুলিশ সক্রিয় হয়নি বলে গত কয়েকমাস রাজপথে আওয়ামী লীগের কোন গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে ঈদের পর দেশব্যাপী বিচ্ছিন্ন ভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল করতে দেখা গেছে। ঢাকায়ও বেশ কয়েকটি স্থানে শোডাউন করেছে আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সুযোগ পেলে শহরেও বড় ধরনের শোডাউন করতে পারে দলটির নেতাকর্মীরা।