শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

|

বৈশাখ ১০ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

না.গঞ্জে বিরোধ মিমাংসার আগে হেফাজতের সকল কার্যক্রম বয়কটের ডাক 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

না.গঞ্জে বিরোধ মিমাংসার আগে হেফাজতের সকল কার্যক্রম বয়কটের ডাক 

সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল আউয়াল সাহেব সহ নারায়ণগঞ্জের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ- নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন নিয়ে ঘটে যাওয়া বিবাদের মিমাংসা ও দোষীদের বিচারের আগে হেফাজতে ইসলামের নামে নারায়ণগঞ্জে সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহবান জানিয়েছেন জেলার শীর্ষস্থানীয় আলোমরা। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদের প্রচার সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদের স্বাক্ষরিত জেলার শীর্ষ আলেমদের এক যৌথ বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। 

এসময় বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানান, নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের জেলা ও মহানগর কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সাব-কমিটির দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লামা আব্দুল আউয়াল সাহেবের তত্ত্বাবধানে, নারায়ণগঞ্জের শীর্ষস্থানীয় তিন শতাধিক উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী দলগুলোর নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এবং সর্বসম্মতিক্রমে কমিটির একটি প্রস্তাবনা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু উক্ত প্রস্তাবনাকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করে ও শীর্ষস্থানীয় আলেমদের পাশ কাটিয়ে গুটিকয়েক লোক একটি পকেট কমিটি ঘোষণা করে। যা শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেন৷ ফলে হেফাজত মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান সাহেব উক্ত বিতর্কিত কমিটিকে স্থগিত করেন এবং নারায়ণগঞ্জে এসে বিষয়টি মিমাংসা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু একটি মহল এখনো নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য বিতর্কিত কমিটির পদবী ব্যবহার করে হেফাজতের মানকে ক্ষুন্ন করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ২৫ এপ্রিল হেফাজতের নামে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় একটি গণজমায়েতের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বিবাদমান বিষয়ে মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত আমরা নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের নামে কোনো সমাবেশ বা জমায়েত দেখতে চাই না। কোনো পক্ষ এজাতীয় কার্যক্রম চালালে আমরা সম্মিলিতভাবে তা বয়কট করবো, ইনশাআল্লাহ।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ডিআইটি মসজিদের খতীব আল্লামা আব্দুল আউয়াল, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও আমলাপাড়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল কাদির, দেওভোগ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, আলীরটেক মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ আতাউল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী জাকির হুসাইন কাসেমী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুফিজুল ইসলাম, সাইনবোর্ড আশরাফিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী মুফিজুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন, মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসাইন, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, জামিয়া কাসিমিয়া ভুইগড়ের মুহতামিম মাওলানা ইসমাঈল আব্বাসী, দারুল কোরআন রূপগঞ্জের মুহতামিম মাওলানা বদরুল আলম সিলেটী, দেওভোগ মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আব্দুর রহমান, কারিমীয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু সায়েম খালেদ, হাজীপাড়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতী আব্দুল আহাদ, শিক্ষাসচিব মুফতী মাহমুদুল হাসান, হাজীগঞ্জ মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী ইমরান হোসাইন, চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুর রহীম, হাজী সাইজুদ্দীন মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আবু নাসের, বন্দর মাহমুদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আবুল কাসেম, হাজী শাহজাদী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুল আমীন তালিমী, ফতুল্লা ইমাম সমাজের সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক কাসেমী, তালতলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মহিউদ্দিন খান, ফতুল্লা উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুফতী ফয়জুল্লাহ, আড়াইহাজারের মাওলানা আইয়ুব, মাওলানা ফারুক আহমদ, সোনারগাঁও উলুকান্দী মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী জহীরুল ইসলাম ফারুকী, লাধুরচর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আবু বকর কাসেমী, পরমেশ্বরদী মাদ্রাসার মুফতী নুরুল্লাহ হাশেমী, সিরাজুল উলুমের মুহতামিম মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ, পুলিশলাইন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আলী আহমদ, আইলপাড়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুজিবুর রহমান, বায়তুল হিদায়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুল গনী, আহমাদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী সায়েম আহমদ, সিরাজুল উলুম তারাব মাদ্রাসার মাওলানা আবু তাহের, মুফতি লোকমান সালেমী- জামিয়া ইসলামিয়া যিন্নুরাইনের মুহতামিম মুফতী লোকমান সালেমী, দারুল উলুম রুপগঞ্জের মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মান্নান সিরাজী বিবৃতির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন।