
কৃষকদলের নেতাদের সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা শুরু থেকেই এই কমিটির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমরা বলেছি শাহীন ও আলমের কাছে কৃষকদল নিরাপদ থাকবে না। তারা আওয়ামী লীগের দোসর ও তৃণমূল বিএনপির সাথে যোগাযোগ রেখে চলাফেরা করে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা কৃষকদলের নেতাদের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, জেলা কৃষকদলের কমিটিতে ডা. শাহীনের লোককে বহিষ্কার করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে এ লোকদের তারা দলে নিয়েছে। ফ্যাসিস্টের দোসরদের দিয়ে তারা কমিটি সাজিয়েছে এবং রূপগঞ্জে তৃণমূল বিএনপি দোসরকে সভাপতি করেছে। এর ফলে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থানা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ২০২০ সালের কমিটির সাবেক সভাপতি ও জেলা কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমি। বর্তমান জেলা কৃষকদলের কমিটিতেও আমাকে পাঁচ নং যুগ্মহ্বায়ক করা হয়েছে যেটা আমি নিজেও জানি না।
কয়েকদিন আগে জেলা কৃষকদলের ৭৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ভাই ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল ভাই বিচক্ষণ লোক। তাদের পরিশ্রমে কৃষকদল বিএনপি অন্যতম অঙ্গ সংগঠন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জে জেলা কৃষকদলে ডা. শাহীনকে আহ্বায়ক ও আলম মিয়ার মত বিতর্কিত লোককে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
এসময় তিনি আরও জানান, অতি দ্রুত এ কমিটি ভেঙে দিয়ে ত্যাগী নেতাদের দিয়ে জেলা কৃষকদলের কমিটি গঠনের জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা কেন্দ্রে লিখিত ভাবে প্রমাণসহ অভিযোগগুলো কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। গত ১০ তারিখে আমরা অভিযোগ জমা দিয়েছি কিন্তু কোন রেজাল্ট পাইনি।