সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ১৫ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

মদনপুরে কিশোর গ্যাংয়ের তান্ডব, ভাংচুর লুট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৮:০২, ৩ মে ২০২৩

আপডেট: ১৭:০৯, ১৮ মার্চ ২০২৪

মদনপুরে কিশোর গ্যাংয়ের তান্ডব, ভাংচুর লুট

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুরে ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটের ঘটনা ঘটায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের বাসার আলমারিতে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার (মূল্য অনুমানিক ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা) লুট করে নিয়ে যায় এবং বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মদনপুরে কলাবাড়ী এলাকার এক বাড়িতে ভাংচুর ও লুটের এ কান্ড ঘটায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। 

জানা যায়, এই কিশোর গ্যাংয়ের উঠতি বয়সী কিশোররা সকলেই মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার বাদী হয়ে বন্দর থানায় ১১ জনকে নামীয় আসামি ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

আসামিরা হলো- চাঁনপুর এলাকার শহীদ মিয়ার ছেলে সিফাত (২০), আশ্রাফুল (২২), দেওয়ানবাগ ছোটবাগের আমজাদের ছেলে  তানজিম (২০), চাঁনপুরের মতিনের ছেলে জীবন (২০), কাশিপুরের মৃত আয়নাল মীরের ছেলে হৃদয় (১৯), ফুলহরের সফুরউদ্দিনের ছেলে টোকাই রাকিব (২২), দেওয়ানবাগ ছোটবাগের রমজান হোসেনের ছেলে রিয়াজ (২০), সোহেল (১৯), চাঁনপুরের মৃত ফারুকের ছেলে এবাদুল্লাহ (২০), সামসুদ্দিন (২২), দেওয়ানবাগ ছোটবাগের মোস্তফার ছেলে সিফাত (১৮)। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলাবাড়ী নিবাসী মোঃ খলিল মিয়ার বাড়িতে গত ৩০ শে মার্চ  দুপুরে কিশোর গ্যাংয়ের একটি গ্রুপ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ বেআইনী জনতাবদ্ধে একত্রিত হয়ে বন্দর থানাধীন দেওয়ানবাগ কলাবাগ এলাকায় বাদীর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। 

এতে নিষেধ করলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাথারিভাবে কিলঘুষি ও লাথি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। পরবর্তীতে তারা ঘরে লুটপাট চালায় এবং ভাংচুর করে।

বাদী জানায়, আমার ভাতিজা সাকিব (১৫), ভাতিজা সবুজ (২৫) এবং ভাতিজা হাফিজুল (১৪) এগিয়া আসলে বিবাদীরা তাদেরকেও এলোপাথারি মারধর করে নীলাফুলা রক্তাক্ত জখম করে। আমার ভাতিজা সাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে  বিবাদী হৃদয় তার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়া আমার ভাতিজা সাকিব এর মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সকল বিবাদীরা প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে চলে যায়।

মোঃ খলিল মিয়ার ভাতিজা আহত সিফাত জানায়, ঘর থেকে বের হয়ে দেখি ৩০-৪০ জনের একটি গ্রুপের কয়েকজন কিশোর আমার চাচাকে এলোপাথারিভাবে কিলঘুষি ও লাথি মারছে আর বাকির ঘর লুটপাট চালাচ্ছে। আমি বাধা দেওয়া হৃদয় আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় এবং আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এরপর তারা আমার বৃদ্ধ দাদাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমাদেরকে এখন অনেকেই কল দিয়ে হুমকি প্রদর্শন করছে। আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর সিদ্দিক জানায়, আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।