
ফাইল ছবি
বন্দরে সাব- রেজিস্ট্রারকে ধোকা দিয়ে বিভিন্ন দলিল রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার ঘটনায় দলিল লিখক গোলজার হোসেন ও মুজাহিদ সরকার জনির দলিল লিখক সনদপত্রের কার্যক্রম সাময়িক ভাবে স্থগিত করেছে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়। জনৈক আবুল বাশারের দায়েরকৃত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃপক্ষ গত ১১ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত দুই দলিল লিখককে পত্রপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কারন দর্শনার জন্য এ নির্দেশ দেন। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লিখক গোলজার হোসেন সনদ নং- ৫২ ও মুজাহিদ সরকার জনি সনদ -৮৩ দলিল রেজিস্ট্রার ক্ষেত্রে জ্বাল পর্চা খতিয়ান তৈরি করে সাব রেজিস্ট্রারকে ধোকা দিয়ে বিভিন্ন দলিল রেজিস্ট্রি করে নেন। যাহা দলিল লেখক সনদ বিধিমালা -২০১৪ এর অসদাচরণের শামিল।
এ ব্যাপারে দলিল লিখক গোলজার হোসেন সনদ নং- ৫২ ও অপর দলিল লিখক মুজাহিদ সরকার জনি সনদ নং- ৮৩ গনমাধ্যমকে জানায়, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট। জনৈক আবুল বাশারকে আমার কেউ চিনি না। আমরা দলিল লিখকগন নামজারী, র্পচা ও খাজনা দেখে দলিল লিখি। পরবর্তীতে দলিল, র্পচা, খাজনা কেরানির নিকট জমা দেই। পরে কেরানি তা যাচাই বাছাই করার পর সাব - রেজিস্ট্রার স্যার তিনি যাচাই করে রেজিস্ট্রি করে। আমরা পত্রপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জবাব দেওয়ার পরও দীর্ঘ ৮ মাস চলছে কোন তদন্ত না করে আমাদেরকে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করে রেখেছে। যা খুব দুঃখ জনক।বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তসহ সনদপত্র কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ বাতিল করে পুনরায় কর্মস্থলে বহাল রাখার জন্য জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে বন্দর দলিল লিখক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির মৃধা সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।