ফাইল ছবি
বন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে তিন পরিবারের বাড়ি থেকে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে আসলাম গংয়ের বিরুদ্ধে।
সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বন্দরের নয়ামাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এসময় হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার সহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ ঘটনায় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি ইসলাম(৩৮), তার স্ত্রী জানু(৩০), তোফাজ্জল(৫৫), টিটু(৩৫), শিশু শিক্ষার্থী ইয়াসমিন(১১) সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহত জানু বেগম জানান, প্রতিবেশী মৃত মানিক মিয়ার ছেলে মাদক কারবারি আসলাম আমার স্বামীর কাছে দোকানে সার্টার মেরামত করতে দেন। কাজ করতে দেরি হওয়ায় গত সোমবার সকালে শতাধিক ব্যাক্তি লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এসময় আমার দেবর ভাসুরের পরিবারের লোকজন এসে বাঁধা দিলে তাদেরকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তিনটি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে হাস মুরগী, ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণালংকার সহ ১০ লাখ টাকা মালামাল লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বন্দর থানায় অভিযোগ করায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফের হামলা চালিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় মাদক কারবারি আসলাম। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে আসলে তাদের সামনেই আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। পরে দুইদিন পরিবার নিয়ে বাড়ি ছাড়া থাকলেও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার দুপুরে নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ আমাদেরকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
অভিযোগ তদন্তকারি অফিসার এসআই মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।