শহর জুড়ে তীব্র যানজট
নারায়ণগঞ্জে পুরো শহর জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। শহরের অগিগলি থেকে শুরু করে মূল সড়কগুলো পর্যন্ত সর্বত্র এই যানজট, যার ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) নগরীর মন্ডলপাড়া, দেওভোগ, চাষাঢ়া, কালীরবাজার সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।
একদিকে যেমন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় নগরীর কিছু কিছু জায়গায় সড়কগুলো সংকুচিত হয়ে পড়েছে অন্যদিকে সড়কে অবৈধ ভাবে বাস-ট্রাক ও প্রাইভেট কার পার্কিংয়ের ফলে সংকুচিত হয়েছে সড়ক। শহরের দুই নং রেলগেট এলাকার মত ব্যাস্ত রাস্তায় ব্যাটারি চালিত অটোর স্ট্যান্ডের ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায় বিগত তিন-চার বছর আগেও সড়কটিতে এত যানজট ছিল না। ইদানিংকালে যানজট বেড়েছে সরকটিতে।
ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর জানান, নাগবাড়ি, দেওভোগ মাদ্রাসা রুটে চলাচল করে এ অটোগুলো। এ রাস্তায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই অটো দিয়ে চলাচল করে যাদের বেশিরভাগেই গার্মেন্টস কর্মী।
নারায়ণগঞ্জ কলেজের ছাত্র আসিফ জানান, দেওভোগ আখড়ার মোড় থেকে দুই নং রেলগেট পর্যন্ত দুই থেকে তিন মিনিটের রাস্তা হলেও এতটুকু পথ পাড়ি দিতে কখনও কখনও বিশ মিনিট থেকে আধা ঘন্টা পর্যন্ত সময় লেগে যায়। যার ফলে প্রায়ই ক্লাস মিস হয়ে যায়।
একই অবস্থা নগরীর কালীরবাজার এলাকায়ও। এলাকার পুরাতন কোর্টের মোড় থেকে শুরু করে ফ্রেন্ডস মার্কেট পর্যন্ত সড়কের এক পাশে বসে ভ্রাম্যমান ফলের দোকান, জামা-কাপড়ের দোকান। তার আরেকটু সামনে আগাতেই দেখা যায় মূল সড়কের প্রায় অর্ধেকটা দখল করে মালবাহী গাড়ী, প্রাইভেট কার, রিক্সা ইত্যাদি পার্ক করে রাখা। ফলে হরহামেশাই যানজট লেগে থাকে সড়কে।
কালীরবাজারে ঔষধ কিনতে আসা নিরব হাসান নামের এ ক্রেতা জানান, আমি যখনই এখানে আসি, দেখি মূল সড়কে ওপরই এভাবে রিক্সা গাড়ী দাড়িয়ে আছে। এ কারনে প্রায় সময়ই জ্যামে আটকে তাকতে হয়।
নগরীর চাষাড়া এলাকায়ও দেখা যায় একই চিত্র। নগরীর অন্যতম ব্যাস্ত এই প্রবেশ পথের ঠিক একটু সামনেই সড়কের পাশে রয়েছে একটি সিএনজি স্ট্যান্ড। চাষাঢ়া-লিংকরোডের ঠিক মোড়েই প্রায়ই দেখা মেলে বাস থামিয়ে যাত্রি ওঠানামা করতে। ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগায় এসব হলেও মাঝে মধ্যে তাদের সড়ক থেকে সারিয়ে দেয়া ছাড়া তেমন কিছুই করতে দেখা যায়নি।