প্রতীকী ছবি
রোজা রাখা অবস্থায় নখ কাটাতে বা চুল কাটতে কোনো অসুবিধা নেই। এগুলোর সঙ্গে রোজার কোনো সম্পর্ক নেই। আর রোজা রেখে দাড়ি সেভ করলে রোজা ভাঙবে না। তবে পবিত্র রমজানের উদ্দেশ্য পূর্ণতা পাবে না।
কেননা, রমজানের রোজার উদ্দেশ্য হলো- আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর প্রতি আনুগত্য করা। আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী চলা ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নত নিজের ব্যক্তিজীবনে নিয়ে আসা।
কিন্তু শেভ করার মাধ্যমে আমরা নবীর একটা সুন্নতের উপর আঘাত করি। অথচ দাড়ি কামানোর মাধ্যমে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সুন্নতের বিপরিত করা মুমিন মুসলমানের জান্য উচিত নয়। অবশ্য এটা ভিন্ন কথা; এতে রোজা ভেঙে যাবে না, বরং রোজা— রোজার জায়গা থেকে আদায় হয়ে যাবে। তবে রমজানের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণভাবে আদায় হচ্ছে না। মানে আল্লাহর পরিপূর্ণ আনুগত্য ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী নিজের জীবন সাজানোর বিষয়টি পূর্ণতা পাচ্ছে না।
তথ্যসূত্র : সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩/৩৩; সুনানে কুবরা, বায়হাকি, হাদিস : ৮২৫৩; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৯৩১৯)
আরও পড়ুন : রোজা রেখে টুথপেস্ট ও মাজন ব্যবহার করা যাবে কি?
প্রসঙ্গত, রমজানে রোজা রেখে কিছু কাজ না করা উচিত। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো-
এক. বিলম্বে ইফতার করা। দুই. সাহরি না খাওয়া। তিন. কেনা-কাটায় ব্যস্ত থাকা। চার. মিথ্যা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজ করা। পাঁচ. অপচয় ও অপব্যয় করা। ছয়. হক আদায় না করে কোরআন খতম করা। সাত. হক আদায় না করে কোরআন খতম করা। আট. বেশি বেশি খাওয়া। নয়. রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাত করা। দশ. বেশি বেশি ঘুমানো। এগার. পণ্যের দাম বাড়াতে সংকট তৈরি করা। বারো. অশ্লীল ছবি-নাটক ইত্যাদি দেখা। তের. বেহুদা কাজে রাত জাগরণ করা। চৌদ্দ. দুনিয়াবী ব্যস্ততায় মগ্ন থাকা। পনের. বিদআত করা।