ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিগত কয়েক বছরে আলোচনায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল ইসলাম রাজীব। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলা ও মামলার শিকার হলেও রাজপথে সক্রিয় ছিলেন এই ছাত্রদল নেতা।
২০২২ সালের শুরু থেকে বিএনপি দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিসহ নানা দাবীতে রাজপথে সক্রিয় হলে নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে থাকেন রাজীব। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নজরে আসেন রাজীব। তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিবের দায়িত্ব নেয়া পর থেকেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের টার্গেট হন তিনি।
২০২৩ সালের ১৪ জুলাই নিউইয়র্কে বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
ঘটনার পরের দিন ১৫ জুলাই সন্ধ্যার পর শহরের কলেজ রোড এলাকায় তোলারাম কলেজ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এসময় দুই ছাত্রকে আটকে মারধর করতে থাকে ছাত্রলীগ।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কর্মীদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যান রাজীব। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথেই রাজীবের ওপর আক্রমন করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় রাজীবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাজীবকে উদ্ধার করে। এসময় রাজীবকে ছাড়াতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন টিপু ও আনোয়ার।
পরবর্তীতে রাজীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসেন রাজীব। এখমও বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই হামলার ক্ষতচিহ্ন। তবুও দমে যাননি।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তোলারাম কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের নিয়ে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রাজীব। শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আন্দোলন করার পাশাপাশি খাবার পানি দিয়ে আন্দোলনকারীদের সহায়তা করেন এই নেতা। নিজে নিয়মিত রাজপথে থেকে শক্তির জোগান দেন আন্দোলনে। শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করেছেন তিনি।