বাল্কহেড জব্দ
মুন্সীগঞ্জে ছিনতাই হওয়া জ্বালানি তেলবাহী জাহাজটি সিরাজগঞ্জের চৌহালী থেকে উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। এ সময় একটি বাল্কহেড জব্দ এবং পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জের পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চৌহালীর যমুনা নদীর চরসলিমাবাদ ভূতের মোড় নৌঘাট থেকে জাহাজটি উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– বরগুনার সড়কগাছিয়া গ্রামের হানিফের ছেলে সুমন সেখ, খাগবুনিয়া গ্রামের চান খানের ছেলে রিয়াজ খান, লাকুরতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. ফেরদৌস, নারায়ণগঞ্জের চর ধলেশ্বরী গ্রামের আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে ইসলাম ব্যাপারী ও দেলোয়ারের ছেলে আমজাদ হোসেন তপু। নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ওই অভিযান চলে।
চৌহালী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি আরিফ হোসেন জানান, গত ১০ জানুয়ারি ভোরে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামে তেলবাহী জাহাজের ৬ কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ টন ফার্নেস অয়েল লুট করে বালুবাহী বাল্কহেডে ভর্তি করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। এ ঘটনায় জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিং ফিশার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার (অপারেশন) ফজলে খোদা বাদী হয়ে ১১ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। নৌপুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে। অভিযানে ২৬০ টন ফার্নেস অয়েল ভর্তি একটি বাল্কহেড জব্দ এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার ফার্নেস অয়েলের দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা। বাল্কহেডটি দু’দিন আগ থেকে চৌহালীর ভূতের মোড় নৌঘাটে অবস্থান করছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
টাঙ্গাইল অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার সোহেল রানা বলেন, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফার্নেস অয়েল বোঝাই জাহাজটি সয়দাবাদের কড্ডা এলাকার সামিট পাওয়ার প্লান্টে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে জাহাজটি ডাকাতদের কবলে পড়ে। ঘটনার পর থেকে নদীতে নৌপুলিশের অভিযান চলছিল। এর সাত দিন পর যমুনা নদীর চৌহালী এলাকা থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েলসহ একটি বাল্কহেড জব্দ ও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নৌপুলিশের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।