
ফাইল ছবি
প্রেমের অভিনয় করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে এক যুবকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও প্রতিনিয়িত ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে সানজিদা তাবাসুম স্বর্ণা (২৬) নামের এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বরগুনার পাথরঘাটা থানা এলাকা থেকে র্যাবের সহায়তায় স্থানীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে ১০ এপ্রিল কাফি ওই তরুণীর বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সিদ্বিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে গ্রেফতার তরুণীকে হস্তান্তর করা হয়।
রাতে বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্বিরগঞ্জ থানার এসআই মনির হোসেন। তিনি বলেন, মামলার সূত্র ধরেই সানজিদা তাবাসুম স্বর্ণা নামের ওই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার তরুণী স্বর্ণার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়। তিনি রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করেন। অন্যদিকে, বাদী কাফি একজন চাকরিজীবী। ফেসবুকে পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পর স্বর্ণার কথামতো কাফি তাকে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতেন। সে সময় কৌশলে স্বর্ণা তাদের দুই জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে রাখতেন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন অজুহাতে কাফির কাছে স্বর্ণা ধারের কথা বলে টাকা চাইতেন এবং কাফি সরল বিশ্বাসে টাকা দিতেন।
মামলার বাদী কাফি অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন সময় স্বর্ণাকে দেওয়া টাকা একটা সময় ফেরত চাইতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো তাকে নগদ ২০ লাখ টাকা না দিলে তার কাছে ধারণকৃত ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন। তখন কাফি আত্মসম্মানের ভয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১০ লাখ টাকা দেন। গত ২২ মার্চ সকালে সিদ্বিরগঞ্জ মৌচাক বাস স্টেশনে এসে আবার স্বর্ণা টাকা চান এবং টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন।
কাফি আরও বলেন, স্বর্ণা একজন ঠক ও প্রতারক। তিনি শুধু আমার সঙ্গে নয়, আরও বিভিন্ন পেশার ছেলেদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছে। তার সঙ্গে প্রতারণার কাজে আরও দুই-তিন জন জড়িত। তার মা নিজেও বিষয়টি জানেন এবং তার বিকাশ নম্বরেই যেত প্রতারণার টাকা। ভুক্তভোগীরা নানা কারণে ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। আমিও বর্তমানে তার (স্বর্ণা) হুমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। শুনেছি পুলিশ ও র্যাব তাকে গ্রেফতার করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।