প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বেশ কয়েকঘণ্টা অন্ধকারে ডুবে ছিল পুরো শহর।
২৪ অক্টোবর রাতে নগরীর চাষাঢ়া, জামতলা, কলেজ রোড, দেওভোগ, চৌধুরীবাড়ি, সিদ্ধিরগঞ্জ, মাসদাইরসহ প্রাণকেন্দ্রে অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা দেখা যায়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় বিদ্যুৎ গেছে এসব এলাকায়। এরপর ভোর পর্যন্ত অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি।
এলাকাবাসী জানান, বিদ্যুৎ যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট অফিসে ফোন দিলে তারা ঝোড়ো বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ নেই জানিয়ে বাতাস থামলে আসবে বলে জানায়। ১১ টার পর বাতাস ও বৃষ্টি থামলেও বিদ্যুৎ আসেনি।
এদিকে বিদ্যুৎ কখন আসবে এবং কেন নেই জানতে ডিপিডিসির কিল্লারপুল স্টেশনের ল্যান্ডফোনে ঘন্টাব্যাপী ফোন দিলে সেটি ব্যস্ত দেখায়। একাধিক কর্মকর্তা ও অভিযোগের নাম্বারে ফোন দেয়া হলেও কখনো ব্যস্ত দেখায়, কখনো কেউ উত্তর দেয়নি। তখন গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি বক্তব্য নেয়ার জন্য।
এমন অবস্থায় রাত ৮ টায় জেলা দূর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ কর্তৃক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তবে সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।