ফাইল ছবি
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ পন্ড করার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে পালিত অবরোধে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাটি ছিল বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় যুবলীগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে তাদেরও ধাওয়া দেন বিএনপির কর্মীরা। এসময় ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য, বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়। এর মধ্যে নুরুল হক (৫০) নামে এক পুলিশ সদস্যকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার পাঁচরুখী এলাকার মহাসড়কে এ সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, এদিন সকালে অবরোধের সমর্থনে পাঁচরুখী এলাকায় মহাসড়কে মিছিল বের করে বিএনপি। দলের কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে মিছিলে শত শত নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিল থেকে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধ সফলে নানা স্লোগান দেন তারা। মিছিলটি মহাসড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর পুলিশ বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ টিয়াস গ্যাস ও গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ফেলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তুমুল সংঘর্ষ হয় দুপক্ষের মধ্যে।
সংঘর্ষ চলাকালে পাঁচটি বাস ভাঙচুর করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটাসহ এলে তাদেরও ধাওয়া দেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষে পুলিশের পাঁচ সদস্য, বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীও আহত হন। এসময় নুরুল হক নামের এক কনস্টেবল লাঠির আঘাতে মারাত্মক আহত হন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ জানান, আমাদের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় আহত হয়েছেন। পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্বিচারে গুলি করেছে। তবু আমরা ৭২ ঘণ্টা রাজপথে থেকে অবরোধ সফল করবো।
এঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা সড়কে নৈরাজ্য করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নুরুল হক নামে এক পুলিশ সদস্যের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।