শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সালতামামি ২০২৩

ক্রীড়াঙ্গনে এ বছর নতুন মাত্রা যোগ করেছে ফতুল্লা স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:২৯, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৬:৩০, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

ক্রীড়াঙ্গনে এ বছর নতুন মাত্রা যোগ করেছে ফতুল্লা স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ

ফাইল ছবি

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অবশেষে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম পুনরায় খেলা উপযোগী করতে মাঠের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। স্টেডিয়ামটি সংস্কারের জন্য বহু আগে থেকেই দাবী জানিয়ে আসছিল নারায়ণগঞ্জবাসী।

২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল বঙ্গসাথী ক্লাবের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, আমাদের ফতুল্লা ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি দীর্ঘদিন পানির নিচে আছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ফিজিবিলিটি স্টাডি করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা আড়াইশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। আশা করি খুব দ্রুতই স্টেডিয়াম উদ্ধারে কাজ শুরু হবে।

পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মাঠের সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিদর্শন করতে আসেন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এবং বিসিবির পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটু।

বাংলাদেশ ক্রীড়া সংস্থা (এনইসি) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যৌথভাবে মাঠটিকে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মানে ফেরাতে বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের সহায়তা নেয়। বুয়েটের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানেই মাঠের সংস্কার কাজ চলছে।

স্টেডিয়ামটি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) প্রকল্পের ভেতরে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে মাঠের অবস্থান নিচু এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠটি তলিয়ে যায়। যে কারণে প্রায় আট বছর ধরে মাঠটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দেশের ক্রিকেট মাঠের সংকট থাকায় বিসিবি নিজস্ব অর্থায়নে মাঠটিকে খেলার উপযোগী করার উদ্যোগ নেয়।  

প্রায় ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ফতুল্লা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনটি টেস্ট ম্যাচ, নারী বিশ্বকাপ, ওডিআই ক্রিকেট ম্যাচসহ অনেক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। আইসিসি অনুমোদিত টেস্ট প্লেয়িং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠের একটি ভেন্যু এটি। ২০১৫ সালে সর্বশেষ ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মাঠে। এরপর থেকেই মাঠটিতে পানি জমে থাকায় এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

বিসিবির গ্রাউন্ড অ্যান্ড উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান জানান, খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামটির সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে মাঠটি খেলার উপযোগী করে তোলা হবে। ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ আরও বৃদ্ধি করার জন্য ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আরও বেশ কয়েকটি মাঠকে নিয়ে চিন্তা করছে।

ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক (মিডিয়া) ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু জানান, স্টেডিয়ামটি এনইসির সংস্কার করার কথা থাকলেও নানা কারণে তাদের সময় লাগায় বিসিবি নিজস্ব অর্থায়নে মাঠটি সংস্কার করছে। মাঠটিতে যাতে পানি জমে থাকতে না পারে সেজন্য ৪ থেকে ৬ ফুট উঁচু করে পরে মাঠের গ্রাউন্ড তৈরি করা হবে।