গণ-অভ্যুত্থানে মাঠে ছিলেন দিপু ভূঁইয়া
নারায়ণগঞ্জে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভাবে মাঠে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু। পুলিশের গুলি উপেক্ষা করে ছাত্র জনতার পাশে দাঁড়িয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন এই বিএনপি নেতা।
আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সাথে একই কাতারে মাঠে থেকে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও প্রশংসিত হয়েছেন দিপু। এই আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অন্য কোন নেতাকে রাজপথে এতটা সক্রিয় দেখা যায়নি।
শুরুতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন চলমান থাকা অবস্থায় ১৮ ও ১৯ জুলাই দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্র্যাকডাউন চলাকালে পরবর্তীতে এর প্রতিবাদে নয় দফা প্রস্তাব করে শিক্ষার্থীরা। এসময় পুনরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তৎকালীন সরকার দলীয় সমর্থকদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারসহ নানা ধরনের সামগ্রী সরবরাহ করেন দিপু। এছাড়াও আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা প্রদান, আইনি সেবাও দিয়ে সহায়তা করেছেন দিপু।
পুলিশের ক্র্যাকডাউনে আন্দোলন দমে যাওয়ার পরে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন শুরু হলে পরিবারের কাছে বিদায় চেয়ে মাঠে নামেন দিপু ভূঁইয়া। ২৬ ও ২৭ জুলাই আন্দোলন পুনারায় উজ্জীবিত হলে ছাত্র জনতার ওপর বিভিন্ন জায়গায় হামলা শুরু করে পুলিশ ও ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জেও সারাদেশের ন্যায় শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এর পরপরই মাঠে নামেন দিপু ভূইয়া ও তার সমর্থকরা।
গত ৪ আগষ্ট নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নানা হুমকি ধামকি দিতে থাকলে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে এদিন সকাল থেকেই শহরের মিশনপাড়া এলাকায় অবস্থান নেন দিপু ভূইয়া।
সেদিনের ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে দিপু ভূঁইয়া বলেন, পাঁচ তারিখের আগে যারা ছিল মাঠে তাদের সাহস অন্যরকম। ওরা গুলি করত, আমরা জানতাম না ঘরে ফিরতে পারবো কীনা। আমি চার তারিখে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নামাজ পড়ে পরিবারের সকলের কাছে বিদায় নিয়ে বের হয়েছিলাম। কারণ আমি জানতাম না আর ঘরে ফিরতে পারবো কীনা।
এসময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের জন্য খাবার ও পানির ব্যাবস্থা করেন তিনি। ৫ আগষ্ট মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতেও দিপু ভূইয়া ও তার নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। এসময় সংঘর্ষে তার ঘনিষ্ঠ ছাত্রদলের এক কর্মী যাত্রাবাড়িতে নিহত হয় বলে জানা যায়।