জাকির খান
নারায়ণগঞ্জে বছরজুড়ে সাব্বির হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় নিয়মিত নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতে আনাগোনা ছিল জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের। আদালতে জাকির খানকে আনা হলেই তার হাজারে সমর্থক আদালতপাড়ায় ভীড় জমাতেন। পাঁচ আগষ্টের পূর্বে প্রশাসনের বাধা থাকলেও পাঁচ আগষ্টের পর জাকির খানের নেতাকর্মীরা তার মুক্তির দাবীতে নিয়মিত আদালত পাড়ায় শোডাউন করে আসছিলেন।
২০২৪ সালের পুরো সময়জুড়েই জাকির খানের মুক্তির ইস্যুকে ঘিরে আদালতপাড়া ছিল সরগরম। বিগত কয়েক মাসে যে কয়বার জাকির খান আদালতে এসেছেন ততবারই তার হাজারও কর্মী সমর্থক আদালতে সমাবেশ ও মিছিল করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ৩৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে ৩০টি মামলায় ইতিমধ্যে খালাস পেয়েছেন জাকির খান। বাকি তিনটি মামলার মধ্যে দুটিতে জামিনে আছেন তিনি। নারায়ণগঞ্জের ব্যাবসায়ী নেতা সাব্বির হত্যা মামলায় জামিন পেলেই জাকির খান মুক্তি পাবেন বলে আশা তার আইনজীবী ও নেতাকর্মীদের।
গত ২৪ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ভাটারা থানার একটি মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে একথা জানায় জাকির খানের আইনজীবী এডভোকেট রবিউল হোসেন। তিনি বলেন, জাকির খানকে একটা অকেজো খেলনা পিস্তল দিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। শামীম ওসমান ও তার দোসর বিএনপির বহিস্কৃত নেতা তৈমূর আলম খন্দকার জাকির খানকে আটকে রাখার চেষ্টা করেছিল। আমরা এ মামলায় জামিনে আছি।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এই মামলাগুলো দেয়া হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে তৈমূর আলম খন্দকার শামীম ওসমানের সাথে ষড়যন্ত্র করে এই মামলাগুলো করেছে।
এদিকে দীর্ঘদিনেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে সাব্বির হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আদালত আদেশ দিয়েছে।