ডিসির বাসভবন পাহাড়া দেয় বিএনপি
নারায়ণগঞ্জে বিগত ১৭ বছর প্রশাসনকে ব্যাবহার করে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে পাঁচ আগষ্টের পর সকল নির্যাতন নিপীড়ন ভুলে গিয়ে প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবন, থানাসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ২০২৪ সালের আলোচিত ঘটনাবলীর মধ্যে এটি ছিল অন্যতম।
পাঁচ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্র জনতার নিশানায় পরিনত হয় পুলিশ প্রশাসন। এমন অবস্থায় নিরাপত্তাহীন হয়ে পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও তাদের অফিসগুলো।
সরকার পতনের পর পাঁচ আগষ্ট রাতে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি কোথাও। এমন অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের অনুরোধে তার বাসভবনে পাহাড়া দিতে যান মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা।
এসময় ডিসির বাসার নিচে ও আশেপাশের এলাকায় মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে যুবদলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। রাতভর সেখানে উপস্থিত থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন তারা।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে হামলার ঘটনা ঘটলে সেখানে যান ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরবর্তী কয়েকদিন সেখানে পাহাড়া দেন তারা।
এ ব্যাপারে সেসময় মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, পুলিশ লাইন্সে হামলার ঘটনার পর আমাদের সাথে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তাদের সাথে কথা বলেই আমরা পুলিশ লাইন্সে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহাড়া দেই।
এছাড়াও পাঁচ আগষ্টের পরবর্তী সময়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সরকার স্থাপনা রক্ষা করতে কাজ করেছেন বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।