জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে জেলা প্রশাসকের বৈঠক
নারায়ণগঞ্জে পাঁচ আগষ্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে। এমন অবস্থায় শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল ৬ আগষ্ট নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে জেলা প্রশাসকের বৈঠক। এদিন সকল রাজনৈতিক দলের নেতারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসককে সর্বাত্মক ভাবে সাহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
পাঁচ আগষ্টের পর থানাসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা হয়। এঘটনার পর থানাসহ সরকারি স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহাড়া দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা দিনরাত থানা পাহাড়া দেন।
এছাড়াও ফতুল্লায় অবস্থিত জেলা পুলিশ লাইন্সে হামলার ঘটনা ঘটলে সেখানে গিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ। পাঁচ আগষ্টের পর বেশ কয়েকদিন পুলিশ লাইন্সে ইসলামী আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকদের পাহাড়া দিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, পাঁচ আগষ্টের পর আমরা প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছি। সেসময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। পুলিশও নিষ্ক্রিয় ছিল সেসময়। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেয়া আমাদের জন্য চ্যাল্যাঞ্জিং ছিল। তবে আমরা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করেছি। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে সমন্বয় করে আমরা কাজ করেছি। সেসময় আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি ছিল সরকারি স্থাপনা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করেছি
নারায়ণগঞ্জের বাইরে বন্দর, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়েও সক্রিয় ছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসকল জায়গায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে একাধিক বৈঠক করেন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।