মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর ওপর হামলা
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ওপর হামলা বছরের অন্যতম আলোচিত একটি ঘটনা। টিপুর ওপর হামলার প্রতিবাদে দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতারাও ছিলেন সরব।
গত ৬ সেপ্টেম্বর বন্দরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় নবীগঞ্জ এলাকায় টিপুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় টিপুকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। হামলার ঘটনায় মহানগর বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশাকে দায়ী করেন টিপু।
হামলার পরপর ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, বন্দরের বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল ও আবুল কাউসার আশারা জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন। আরও যারা যুক্ত তাদের তথ্যও আছে। এ ব্যাপারে আইনগতভাবে এবং দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা জানিয়ে টিপুর ওপর হামলাকারী দুস্কৃতিকারিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহবান জানান।
এসময় দলের পক্ষ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি দলের পক্ষ থেকে।
এদিকে হামলার ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর টিপু বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর বিএনপি বিএনপি নেতা আবুল কাউসার আশাসহ ৫৩ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। সেই সাথে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলায় এড. টিপু উল্লেখ করেন, ৬ আগস্ট দুপুরে বন্দরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় আশা ও মুকুলের নেতৃত্বে টিপুর ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় আশা অটোরিকশার পেছন থেকে চাপাতি দিয়ে টিপুর ঘাড়ে কোপ দেয়। এর ফলে ঘাড় কেটে রক্তাক্ত জখম হয় এবং সেখানে চারটি সেলাই লাগে।
এঘটনায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল হামলার তীব্র নিন্দা জানান। ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান তারা।