সংগৃহীত
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। সেই উপাধি অর্জনের ৫৩ বছর আজ।
১৯৬৬ সালের ৮ মে গভীর রাতে ৬ দফা কর্মসূচি দেওয়ার অভিযোগে দেশরক্ষা আইনে শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হয়েছিলেন। ৩৩ মাস পর ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিলাভ করেন তিনি।
আগরতলা মামলা থেকে মুক্তিলাভ করে ফিরে আসা শেখ মুজিবুর রহমানকে ২৩ ফেব্রুয়ারি গণসংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিনের রেসকোর্স বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত।
রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ সেদিন জনতার ঢল নেমেছিল। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ওই বিশাল গণসংবর্ধনায় তৎকালীন ডাকসু’র সভাপতি, শেখ মুজিবের একনিষ্ঠ সহচর তোফায়েল আহমেদ মাইকে ঘোষণা করেন, কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি ঋণের বোঝা হালকা করতে চায়। জাতির পক্ষ থেকে প্রিয় নেতাকে উপাধি দিতে চাই।
রেসকোর্স ময়দান প্রকম্পিত করে প্রায় ১০ লাখ মানুষ দু’হাত তুলে সমর্থন করেন তাঁকে। এরপর তোফায়েল আহমেদ বলেন, এবার বক্তৃতা করবেন আমাদের প্রিয় নেতা ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমান।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ যাকে মহাত্মা উপাধি দিয়েছিলেন সেই মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, শেরে বাংলা একে ফজলুল হকসহ পৃথিবীতে অনেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপাধি পেয়েছেন। কিন্তু ফাঁসির মঞ্চ থেকে মুক্ত হয়ে, গণমানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে, এমন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে কেউ উপাধি পাননি। এরপর থেকেই জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে গেলেন বাঙালির প্রিয় ‘বঙ্গবন্ধু’।