ফাইল ছবি
পরমাণু শক্তিকে আন্তর্জাতিকভাবে ‘গ্রিন’ স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে গুরুত্বারোপ করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রোসাটসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এক্সপো-২০২০ এ বিষয়টির ওপর গুরত্ব দেওয়া হয়। এতে রুশ প্যাভিলিয়নে ছিল রোসাটম আয়োজিত ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য যুগান্তকারী প্রযুক্তি’ শীর্ষক থিম ভিত্তিক সপ্তাহ। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি এবং বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর মোট ১৮টি সেশন অনুষ্ঠিত হয় পুরো সপ্তাহ জুড়ে। গত ২৪ জানুয়ারি এটি সমাপ্ত হয়েছে।
এর মধ্যে ‘নেট-জিরো অর্জনের উপায়ঃ চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক সেশনে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ পরমাণু শক্তিকে ‘গ্রিন’ স্বীকৃতি দেওয়ার গুরত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক দেশ ‘গ্রিন’ প্রবিধান প্রণয়ন করছে। তবে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ সংক্রান্ত চাহিদার সমন্বয় করা জরুরি। তিনি জানান, গত বছর থেকেই রাশিয়ার পরমাণু শক্তিকে ‘গ্রিন’ হিসেবে দাপ্তরিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
রোসাটমের প্রধান সাস্টেইনিবিলিটি কর্মকর্তা পলিনা লিওন বলেন, বিশ্বব্যাপী একটি ব্যাপারে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত ঐক্যমত এই যে পারমাণবিক শক্তি ব্যতীত বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতোই পারমাণবিক শক্তি কোনও কার্বন নিঃসরণ করে না। তিনি জানান, কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনে নিজস্ব দায়বদ্ধতা থেকে রাশিয়া ২০৫০ সাল নাগাদ তার এনার্জি মিক্সে পরমাণু শক্তির অবদান বর্তমানের ২০ থেকে ২৫ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
রোসাটোম আয়োজিত সেশনগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় ১০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছাড়াও বিভিন্ন সরকার, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, বেসরকারি ও বিশেষজ্ঞ সংস্থা, অ্যাকাডেমিক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং যুবসংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন এবং জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায়, ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টরসহ নতুন পারমাণবিক প্রযুক্তির ভূমিকা, এনার্জি বৈষম্য দূরীকরণ এবং আর্থসামাজিক সমস্যার সমাধান, শিল্পে কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল ব্যাবহারের গুরুত্ব, মানুষের জীবনমান এবং জীবনের স্থায়িত্ব বাড়াতে পারমাণবিক প্রযুক্তির সম্ভাব্য ভূমিকা ইত্যাদি।
যারা সেশনগুলোতে উপস্থিত থাকতে পারেননি, রোসাটম তাদের জন্য ফেসবুক এবং ইউটিউবে তা সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে এবং টুইটারে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পোস্ট করে। অনলাইনে প্রায় ছয় লাখ মানুষ সেশনগুলো প্রত্যক্ষ করেন।