সংগৃহীত
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯০ সালের দিকে যখন শুধু ফিচার ফোন ছিল; যার মাধ্যমে শুধুমাত্র কল করা এবং টেক্সট পাঠানো যেত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে আজ আমরা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে এক স্মার্টফোন দিয়েই বিস্ময়কর কাজ করতে পারি।
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির আমূল বিবর্তন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে এসে স্মার্টফোনের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। নতুন নতুন উদ্ভাবন, ফিচার ও ব্যবহারকারীদের চাহিদার ভিত্তিতে আলোর গতিতে বেড়ে চলেছে স্মার্টফোনের বিকাশ।
দেশের তরুণদের সেরা পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি এমনই এক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ, যারা তাদের স্মার্টডিভাইসে সেরা ফিচারের পাশাপাশি দারুণ ডিজাইন এবং ইনোভেশনে ইন্ডাস্ট্রিতে ট্রেন্ডসেট করেছে। বর্তমানে সবচেয়ে সেরা ফিচার ও প্রযুক্তি নিয়ে আসার পাশাপাশি স্মার্টফোনের মাধ্যমে যেন গ্রাহকরা নিজেদের ব্যক্তিত্ব দারুণভাবে উপস্থাপন করতে পারেন সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
একটি ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি ‘জেন জি’- এর অন্তর্গত তরুণ ব্যবহারকারীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, দারুণ ডিজাইন এবং ইনোভেশনের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিত্ব দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করছে।
রিয়েলমি ট্রেন্ডসেটিং প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে তরুণদের জন্য দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে রিয়েলমি ৫জি স্মার্টফোন এবং হাই- অ্যান্ড ডিভাইস নিয়ে এসেছে। রিয়েলমি জিটি নিও ২ এবং জিটি মাস্টার এডিশন হলো এই ধরনের দুটি ফ্ল্যাগশিপ ফোন যা গ্রাহকদের অত্যাধুনিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। হাই- অ্যান্ড মার্কেটে একই মান এবং সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে রিয়েলমি তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য আগামী তিন বছরে ১০ কোটি ৫জি ফোন নিয়ে আসার লক্ষ্যে তাদের ৫জি পণ্যগুলোর একটি বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিও তৈরি করেছে। দুর্দান্ত দামে ৫জি ফোনের পাশাপাশি রিয়েলমি তরুণ গ্রাহকদের কাছে আরও এআইওটি পণ্য নিয়ে আসবে কারণ রিয়েলমি এর উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশল নিয়ে এআইওটি ২.০ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
এই প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে রিয়েলমির অর্জিত সাফল্যগুলো শীর্ষস্থানীয় মার্কেট অ্যানালিস্ট সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের প্রতিবেদন অনুসারে, রিয়েলমি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুততম গ্লোবাল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড যারা মাত্র তিন বছরে ১০ কোটি স্মার্টফোনের বিক্রয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে। এছাড়াও ক্যানালিসের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালের প্রথম ও চতুর্থ প্রান্তিকে দেশের ১ নম্বর স্মার্টফোন নির্মাতা হয়ে রেকর্ডটি গড়েছে ব্র্যান্ডটি।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালের ৪র্থ প্রান্তিকে ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ ইউনিট শেয়ারের মাধ্যমে ১ নম্বর স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে রিয়েলমি।
প্রগতিশীল ব্র্যান্ড হিসেবে, রিয়েলমি সবসময়ই পরিবর্তিত গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকে জোর দিচ্ছে। ব্র্যান্ডটির স্লোগান “ডেয়ার টু লিপ” –এর মাধ্যমে তরুণদের ইতিবাচক মানসিকতার প্রতিনিধিত্ব করছে রিয়েলমি।