সংগৃহীত
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে জার্মানি। তাই অ্যাপটির বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের কথা ভাবছে দেশটি।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানির পূর্বপ্রান্তের এক রাজ্যের প্রধান ম্যানুয়েলার নাম দিয়ে একটি মেসেজ ছড়িয়ে পড়ে টেলিগ্রামে। সেখানে লেখা ছিল, ‘পেট্রোল কার অথবা মরদেহ নিয়ে যাওয়ার গাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে। ’ এর কয়েক দিনের মধ্যেই অতি দক্ষিণপন্থি সংগঠনের সদস্যরা তার বাড়ি আক্রমণ করে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে তীব্র সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকার ওই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, কারা এ কাজ করেছে, ওই পোস্টটি কে করেছিল, বোঝা অসম্ভব। কারণ টেলিগ্রাম কোনোরকম তথ্য সরকার বা প্রশাসনের সঙ্গে শেয়ার করে না।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ফেসবুক ও ইউটিউব বিভিন্ন দেশের আইনঅনুযায়ী প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে। প্রয়োজনীয় তথ্য তারা প্রশাসনকে দেয়। টেলিগ্রাম দেয় না বলেই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো তাদের কাজকর্ম টেলিগ্রামের মাধ্যমে করার চেষ্টা করে।
এর আগেও টেলিগ্রামকে সহযোগিতা করতে বলেছিল জার্মান সরকার। কিন্তু অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। তাই টেলিগ্রামের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে নামার কথা ভাবছে জার্মানি।