ফাইল ফটো।
সিদ্ধিরগঞ্জপুুল এলাকার ফুটপাত এখন চাঁদাবাজির মহাউৎসব হয়ে উঠেছে। সড়ক দখল করে চাঁদাবাজি করে গড়ে উঠা ফুটপাতের অবৈধ দোকান-পাট স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ না হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে ইদুর-বিড়াল খেলা চলে উচ্ছেদের নামে। আর ভোগান্তি ও হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারন পথচারীরা।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় ফুটপাতের ভাসমান দোকান মালিকদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক দোকান প্রতি ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। এখানে প্রায় ভাসমান ৩শতাধিক দোকানপাট রয়েছে। যার ফলে প্রতিদিন পুলিশের নাম ও বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ম্যানেজের কথা বলে প্রায় ৯০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করছে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন।
একাধিক দোকান মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে জানা যায়, কোন দোকান মালিক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধরসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেন সালাউদ্দিন। চাঁদা না দিলে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হতো বলে জানান দোকানীরা।
অপরদিকে এই চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রনে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে নাসিক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের ক্যাশিয়ার মো. মাসুদ রানা ওরফে চাঁদাবাজ মাসুদ। অভিযোগ উঠেছে চাঁদাবাজ মাসুদ রানা কাউন্সিলরের অফিসে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীদের এককালিন ২০ হাজার টাকা ও প্রতিদিন ২০০/৩০০ করে টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় ফুটপাতের ভাসমান একাদিক দোকানীরা জানায়, কিছুদিন আগে এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এর দ্ইুদিন পর মাসুদ রানা কাউন্সিলরের অফিসে ডেকে নিয়ে আমাদের কাছে এক কালিন মোটা অংকের টাকা ও প্রতিদিনি ৩০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সামান্য কিছু ইস্যু নিয়েই চাঁদাবাজরা কিছুদিন পরপর তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে চাঁদাবাজরা একত্রিত হয়ে নানা কৌশলে চাঁদাবাজি করছে। নতুন নতুন চাঁদাবাজদের সৃষ্টি ও তাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
একটি সূত্র জানায়, চাঁদা আদায়ের এরিয়া বাড়ানো নিয়ে চাঁদাবাজদের মধ্যে চলছে অন্ত:দ্বন্ধ। আর তাদেরকে নেপথ্যে থেকে নিয়ন্ত্রন করছে স্থানীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী মহল। ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দোকান বসিয়ে সাধারণ নিরীহ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক হুমকি-ধমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করছে চাঁদাবাজরা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ফুটপাত দোকানদার চাপা কষ্ট নিয়ে জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে প্রতি দোকান থেকে টাকা উত্তলন করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও চাঁদাবাজ এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা রাস্তায় দোকানদারদের এক একজনকে ডেকে নিয়ে চাঁদা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। তাই আমরা স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, রাস্তা দখল করে কোন চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। সে যে দলেরই হোক না কেনো তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের নাম করে কেউ চাঁদাবাজি করলে অভিযোগ পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।