
প্রতীকী ছবি
নিজ বাড়ির সামনে মাদক ব্যবসা করতে বাধা দেওয়া এক যুবককে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে মাদক কারবারিরা। শনিবার (২৩ মার্চ) রাত নয়টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি দক্ষিণপাড়া নাইনতার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুত্বর আহত হন নাইনতার পাড়া এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলাম বাচ্চুর ছেলে গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে মোঃ রাফিন (১৯)। তিনি বর্তমানে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আহত রাফিন সরকারী তোলারাম কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
আহত মোঃ রাফিনের পিতা শফিকুল ইসলাম বাচ্চু জানান, নাইনতার পাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি মোঃ হাসান, মোঃ হানিফ, মিরাজুল মাঝি দীর্ঘদিন ধরেই আমার বাড়ির সামনে মাদক ব্যবসার করে আসছেন। বিভিন্ন সময় এলাকার মুরুব্বীরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আসামীরা বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষদের নানাভাবে হয়রানী করে আসছে। আমার বাড়ির সামনে মাদক বিক্রী করতে নিষেধ করায় মোঃ হাসান, মোঃ হানিফ, মিরাজুল মাঝিসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন আসামী আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা বেধড়ক মারধর করে এবং এলোপাতাড়ী কুপিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে আমি সহ এলাকার কয়েকজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নাইনতার পাড়া এলাকায়এক আতঙ্কের নাম মোঃ হাসান, মোঃ হানিফ, মিরাজুল মাঝি। রাফিন ছাড়াও এরকম প্রত্যেক বছর দুই চারজন মানুষকে তারা কুপিয়ে আহত করে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সেল্টার অপরাধের রাজত্ব কায়েম করতেন।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন পুলিশের নাকের ডগায় বসে রীতিমতো বাড়ির সামনে দিন দুপুরে মাদক বিক্রি করছেন এখন কে তার সেল্টার দাতা। যারা রাফিনকে কুপিয়ে আহত করেছে তারা মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতারা জানান নাইনতার পাড়া এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। এলাকাটি মাদকমুক্ত করতে হলে প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সবাইকে একজোটে কাজ করতে হবে।
এই বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সততা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ যেয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী হাসানকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।