ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একজন অধ্যক্ষ। গতকাল রোববার বিকেলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে। ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড.নুরে আলম লিখিত বক্তব্য এ মামলা প্রত্যাহারে দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক সালাউদ্দিন জুয়েল, সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের সহকারী অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমজিয়াজ বকুল, সোনারগাঁ গঙ্গাবাসী ও রামচন্দ্র পোদ্দার ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মর্তূজা কাজল।
লিখিত বক্তব্যে ড. নুরে আলম বলেন, তিনি বিএনপির রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ছাত্রজীবনে ৮৮-৮৯ সালে তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন হলের ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।১৯৯৩-৯৪ সালে সোনারগাঁ ছাত্রদলের আহবায়ক ছিলেন। সোনারগাঁ ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ২০২৩ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। ২০০৮ সাল থেকে বিএনপি দলীয় সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের প্রতিষ্ঠিত সরদার আজমত আলী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাঁচপুর ব্রীজের ঢালুতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল বিষ্ফোরণ, দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করেন। সেখানে ইব্রাহিম নামের এক যুবক মারা যায়। ওই ঘটনায় গত ২৩ আগষ্ট নিহতের বাবা মো. হানিফ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ২৮ নম্বর আসামী হিসেবে তাকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। বিএনপির একটি অংশ ঈশ্বার্ণিত হয়ে তাকে এ মামলা উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে জড়িয়েছে। এ মামলা তদন্ত করে যারা জড়িত নয় তাদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আওয়ামীলীগের রোষানলে ছিলেন। তার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়া তার পরিবার আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। এখন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার নাম যুক্ত করে মামলা দেওয়া দুঃখজনক।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, মামলার এজহারে বাদি কার নাম অর্ন্তভূক্ত করেছেন এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে তদন্ত করে কারো অপরাধ প্রমাণিত না হলে বাদ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত ১৯ জুলাই বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে কাঁচপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতিকারীর ছোড়া গুলি তার ছেলে ইব্রাহিমের মাথায় লেগে বাহির হয়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষনা করে।