ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতার লিজকৃত সম্পত্তি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজী সেলিম সরকার।
সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় কাঠালিয়া পাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন, নয়াপুর বাজার কমিটির সহ-সভাপতি মুকবুল হোসেন, আব্দুল মতিন মো. রনি, মফিজুল ইসলাম প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১০ সালে নয়াপুর কাঁচাবাজারের পেছনে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ৩৭শতাংশ জমি কৃষি লিজ নিয়েছেন। লিজ নেওয়ার পর তিনি ওই জমি বাউন্ডারি করে দখলে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারনে তাকে ২৭টি হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে রেখেছেন। ৪ বার তিনি জেলে গিয়েছেন। এ সুযোগে কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামের বাসিন্দা ও নয়াপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে শামীম খন্দকার, মনির হোসেন, আমিনুল ইসলাম, তাওলাদ মুন্সিসহ ১০-১২জনের একটি দল জোরর্প্বূক অবৈধভাবে দখলে নিয়ে নেয়। ওই সময়ে সোনারগাঁ থানা ও ইউপি কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তার লিজের সঠিক কাগজপত্র দেখে তাকে দখলে দেয়। কিন্তু মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে রাখার কারণে জমিটি আর তিনি কব্জায় নিতে পারেননি। ফলে বেআইনিভাবে তার লিজের জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করে বিক্রি করে দেন আতিকুর রহমান। এ জমি থেকে তারা লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করেছেন।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর তিনি পরদিন ৬ আগষ্ট জেল থেকে ছাড়া পান। ছাড়া পাওয়ার পর নয়াপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের ডেকে র্নিভয়ে ব্যবসা করার জন্য তাদের সাহস দিয়েছি। গত বৃহস্পতিবার তারিখ তার লিজ নেওয়ার সম্পত্তি পুনরায় দখলে নেওয়ার জন্য জমিতে গেলে আতিকুর রহমান ও তার লোকজন গিয়ে আমার ছেলে, ভাই ও আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে তার হাত ভেঙে দেয়। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। তিনিও একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারদলীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগের এ গ্রæপকে বিএনপির লোকজন সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তাকে দলীয় পদ থেকে অপসারণের জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিএনপি দলীয় লোকজন পঞ্চমীঘাট বাজারে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট লুট করেছেন। কিন্তু তিনি নয়াপুর বাজারে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দিয়েছেন। অপসারণ হলে তাদের হওয়ার কথা। আমাকে কেন ব্যক্তিগত বিষয়ে অপসারণ করবেন ?
হাজী সেলিম সরকার বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে বৈধ পস্থায় লিজ নিয়ে জমি দখলে নিতে গিয়েছি। তার কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। অন্য কারো কাছে সঠিক ও বৈধ কাগজ থাকলে পারলে দেখান। তিনি এ জমিতে আর যাবেন না। অন্যদের কাগজপত্র না থাকলে প্রশাসন যেন ওই জমি উদ্ধার করে তাকে বুঝিয়ে দেন।
অভিযুক্ত নয়াপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, জমি দখল করিনি। এ জমির আমারও বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। আমাদের কাছে চাঁদা চাওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।