বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

|

অগ্রাহায়ণ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সোনারগাঁয়ে মাল্টিপাসপাসের ৭ কোটি টাকা নিয়ে তিন পরিচালক উধাও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:২০, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে মাল্টিপাসপাসের ৭ কোটি টাকা নিয়ে তিন পরিচালক উধাও

মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের সেকেরহাট এলাকার আলো মাল্টিপারপাস লিমিটেড নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৭ কোটি টাকা নিয়ে তিন পরিচালক পালিয়ে গেছে। গত এক মাস ধরে তারা পালিয়ে যায়। গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে মহজমপুর বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গ্রাহক মোস্তফা মিয়া, আমির হোসেন, শাহ আলম, জয়নাল আবেদীন, আছিয়া বেগম ও শান্তা আক্তার প্রমুখ। 

জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের সেকেরহাট এলাকায় সমবায় কার্যালয় থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে ২০০৮ সালে আলো মাল্টিপারপাস লিমিটেড নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। রেজিষ্ট্রেশন নেওয়ার পর থেকে পরিচালক ও স্থানীয় বাসিন্দা ফারুকুল ইসলাম শাহিন, এমরান হোসেন মুকুল ও কামাল হোসেন ঋণদান কার্যক্রম শুরু করে। পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক গ্রাহক প্রায় ৭ কোটি  টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখেন। গত এক মাস ধরে তাদের অফিস কার্যক্রম বন্ধ করে নিয়ে তারা তিনজন পালিয়ে যায়। গ্রাহকরা তাদের টাকা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। 

গ্রাহক আমির হোসেন বলেন, আলো মাল্টিপারপাস লিমিটেডের তিন পরিচালক গ্রাহকদের প্রায় ৭কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় কয়েকজন তাদের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে নিয়ে আসে। পরে তিনজনকে জিম্মি করে গ্রাহকদের টাকায় কেনা বাড়ি, জমি দখল করে নেয়। এক পর্যায়ে তিনজন গ্রাহক তাদের মারধর করে দ্বিতীয় তলা একটি বাড়ি ও তিনটি জমি জোরপূর্বক তাদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রি করে নেয়। এ বিষয়টি গ্রাহকরা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পুনরায় তারা পালিয়ে যায়। দ্রæত টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি। 

আলো মাল্টিপারপাস লিমিটেডের পরিচালক ফারুকুল ইসলাম শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,  গ্রাহদের আমানতের টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। নগদ টাকা বর্তমানে হাতে না থাকায় আমাদের এ দূরবস্থা হয়েছে। তাছাড়া গ্রাহকের লভাংশের টাকা ফেরত দিতে গিয়ে আমাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের টাকায় কেনা দ্বিতল ভবনের জমিসহ তিনটি জমি আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক লিখে নিয়েছে। গ্রাহকরা আমাদের মারধর করার কারনে আত্মগোপনে রয়েছি। দ্রæত গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।   

জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, গ্রাহকদের টাকার ফেরত পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বে সঙ্গে দেখা হবে। স্থানীয় গন্যমান্যদের নিয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত পেতে সহযোগিতা করা হবে।