সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম স্বপনের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ছুড়ে ছাত্র জনতা হত্যার অভিযোগে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
রোববার দুপুরে সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রেপ্তার হয়ে জেলখানায় থাকা ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা। এসময় সঙ্গে ছিলেন ছেলে জাওয়াদ ও বোনের স্বামী আনিছুর রহমান আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম স্বপনের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা বলেন, জাহিদুল ইসলাম স্বপন একজন জমি ব্যবসায়ী। ২০১৮ সালে একটি কোম্পানির পক্ষ হয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি মোরশেদ আলম ও এস আই সাধন চন্দ্র বসাক জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের ঘটনায় সেই ওসি ও এস আইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তারা কারাভোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি ও এসআই দেশের বিভিন্ন থানায় স্বপনের নামে মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলে হুমকি দেয়। তারই জেরে ওসি মোরশেদ আলম ও এস আই সাধন চন্দ্র বসাক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় ফতুল্লা যাত্রাবাড়ি থানায় স্বপনকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে মামলায় জড়িয়ে দেয়। পরে র্যাব সদস্যদের দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে আদালতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে আছেন। ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম স্বপন বৈষম্যের শিকার হয়েনিজের ছেলেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ নেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।
তিনি আরো বলেন ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম স্বপন সোনারগাঁয়ের হলেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার নামে মামলা দেয়া হয়েছে ফতুল্লা ও যাত্রাবাড়ি থানায়। তিনি একজন অসুস্থ্য মানুষ। তাই এই সমস্ত মিথ্যা মামলা থেকে নিরপরাধ ব্যবসায়ী স্বপনের অব্যাহতি ও জেল থেকে মুক্তি দাবী করেন তার পরিবার।