মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫

|

চৈত্র ১৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

অস্ত্রের মুখে গৃহবধুকে ধর্ষণ. ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:১২, ২০ মার্চ ২০২৫

অস্ত্রের মুখে গৃহবধুকে ধর্ষণ. ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগঁয়ের বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি এলাকায় গৃহবধুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একাধিকবার ধষর্ণের অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠে। এতে ওই এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভূক্তভোগী পরিবার ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না। এঘটনায় ভূক্তভোগী পরিবার তার বিচার দাবি করেছেন। গৃহবধুকে ধর্ষণের একাধিক ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। তবে যুবদল নেতা সুমনের দাবি ভিডিওগুলো অনেক আগের। তবে তার দাবি, এনিয়ে আওয়ামীলীগের একটি মহল ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় যুবদলের পদ থেকে তাকে বহিস্কারও করেছে দল। 

ভূক্তভোগী ওই নারীর খালা জানান, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. সুমন মিয়া একই এলাকার সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রী তার ভাগনিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ওই ভিডিও নিজেই করে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া ও তার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করে। সম্প্রতি ওই ভিডিও পুনরায় ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫০হাজার টাকা দাবি করে। ওই টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ার সেই ভিডিও এখন ওই এলাকার মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়। 

ভূক্তভোগীর খালা দাবি করেন, সুমনের কাছে একটি পিস্তল রয়েছে। সেই পিস্তলের ভয় দেখিয়ে ভাগনির সন্তান ও স্বামীকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। 

এলাকাবাসী জানান, ৫ই আগষ্টের পর আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর যুবদলের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল, বিচার শালিস থেকে অর্থ আদায়। নদী থেকে জেলেদের মাছ লুটসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। 

সরেজমিনে ওই বাড়িতে গেলে  ভূক্তভোগী গৃহবধু ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করেননি। তবে কথা বললে তার ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন। 

বারদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. সুমন মিয়ার কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিডিওগুলো কয়েক বছর আগের। তার মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার পর ভিডিওগুলো বিভিন্ন মানুষের  মোবাইলে চলে গেছে। ভিডিও দেখিয়ে টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। এ ভিডিও প্রকাশের পর তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। 

সোনারগাঁ থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান বলেন, গৃহবধুকে ধর্ষণের বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে খোজ নেওয়া হচ্ছে।