মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫

|

চৈত্র ১৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

আইজিপি ও এসপির কাছে অভিযোগ

সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলার আসামীদের সাথে তদন্ত কর্মকর্তার সখ্যতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ২৭ মার্চ ২০২৫

সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলার আসামীদের সাথে তদন্ত কর্মকর্তার সখ্যতা

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারভেজ হত্যা মামলার আসামীদের সাথে তদন্ত কর্মকর্তার সখ্যতার অভিযোগ তুলে পুলিশ মহা পরিদর্শক ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হত্যা মামলার বাদি ও নিহত পারভেজের ছোট ভাই হৃদয় মিয়া লিখিতভাবে এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অঙ্কুর ভট্টাচার্যকে পরিবর্তন করার আবেদন করা হয়। 

জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামে গত বছরের ১৬ ফেব্রæয়ারি শুক্রবার দুপুরে আধিপত্য বিস্তার ও রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে জাকির হোসেন ও জসিম উদ্দিনের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র টেঁটা, রামদা ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষের ১১জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে জাকির হোসেনের পক্ষের ওই গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে পারভেজ হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। ঘটনার ৪ দিন পর মঙ্গলবার রাতে নিহতের ছোট ভাই মো. হৃদয় মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ২৭ ফেব্রæয়ারি রাতে প্রধান আসামী জসিমউদ্দিন ও তার ছেলে ফাহাদ মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানার বিশ্বরোড এলাকা  থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। ওই সময় রিমান্ডে স্বীকারোক্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত এক ফলা উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি পারভেজ হত্যা মামলার পলাতক আসামীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলে বাদি হৃদয় মিয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা অঙ্কুর ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তারের কথা বললে উল্টো তাকে ধমক দিয়ে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ তোলেন। 

এদিকে আসামীদের গ্রেপ্তার না করায় মামলার স্বাক্ষীদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এমন আচরণে তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে আসামীদের সখ্যতার অভিযোগ তুলেন হৃদয় মিয়া। ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অঙ্কুর ভট্টাচার্যকে পরিবর্তন কর অন্য কোন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি করেন। 

মামলার বাদি হৃদয় মিয়া জানান, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অঙ্কর ভট্টাচার্যকে প্রকাশ্যে থাকা আসামীদের গ্রেপ্তারের অনুরোধ করলে তিনি এসপির দোহাই দেন। এসপির অনুমতি ছাড়া কোন আসামী ধরা যাবে না বলে আমাকে ধমকিয়ে শাসিয়েছেন। এতে করে তার ভাইয়ের হত্যাকান্ডে সু বিচার নিশ্চিত হবে না বলে আশংঙ্কার রয়েছেন।  

নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) অঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, এ মামলার তদন্তভার গ্রহন করেছি মাত্র একমাস হয়। এ মামলার কোন আসামীকে চিনি না। সেখানে সখ্যতার প্রশ্নই উঠে না। ৩-৪জন ছাড়া বাকি সকল আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। বাদির সঙ্গে কোন খারাপ আচরণ করা হয়নি। অভিযোগ দিতে পারেন। তবে কর্তৃপক্ষ তদন্ত করবেন।    

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার আমার জানা নেই। অভিযোগ দিলে সেগুলো ফাইল হয়ে পরবর্তীতে আমার দপ্তরে আসবে। অভিযোগ পেলে যাচাই করে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।