ফাইল ছবি
সারাদেশে যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সেই নির্দেশনা মেনে নারায়ণগঞ্জে কি লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ হবে কি এমনটাই প্রশ্ন জেলাবাসীর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের ভুক্তভোগী। সুতরাং আমি কখনই এ বিষয়ে ছাড় দেবো না। আপনারা জানেন, এরই মধ্যে আমি বলেছি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে, তেমনি অনুমোদনহীন হাসপাতালের ব্যাপারেও ছাড় দেওয়া হবে না।’
এদিকে দেশে যত অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এতথ্য দেন তিনি। ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘বর্তমানেও অধিদপ্তরের সর্ভিলেন্স চালু রয়েছে, তাকে আরও গতিশীল করা হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশে সব মিলিয়ে ৯ হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আট হাজার হাসপাতাল রয়েছে। আমি যখন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ছিলাম, এটি তখনকার হিসাব। এক বছর হলো আমি পরিকল্পনা শাখায় চলে এসেছি। ফলে একদম সঠিক তথ্যটা এই মুহূর্তে বলা আমার জন্য কঠিন। যদিও বর্তমানে আমি দুটি দায়িত্বই পালন করছি। ফলে খুব দ্রুত মহাপরিচালকের সঙ্গে বসে এক বছর আগে যে কাজ করছিলাম তা আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে আমরা সারাদেশেই একটা ক্রাশ অভিযান চালিয়েছি। এতে যারা নিবন্ধিত ছিল না, তারা নিবন্ধিত হয়েছে। আমাদের কাছে তাদের তথ্য আছে। নিবন্ধনটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোথায় অনিবন্ধিত হাসপাতাল আছে তা আমাদের লোকজন দেখে। যখনই আমরা তথ্য পাই, আমরা চেষ্টা করি তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
আহমেদুল কবীর বলেন, ‘সারাদেশ অনেক বড় জায়গা। সারাদেশে কত ধরনের ঘটনা ঘটে যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও জানে না। কোনো একটা নাশকতা ঘটার পর তা জানা যায়। অর্থাৎ সার্বক্ষণিক সার্ভিলেন্স করা তো সম্ভব হয় না। তেমনই হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের বাইরে কিছু হচ্ছে না, তা বলা মুশকিল। তবে আমরা সারাদেশে আবারও সার্ভিলেন্স চালাতে বলেছি। আমাদের চলমান অভিযান আরও সক্রিয় করা হবে।’
ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বড় প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ বা ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বড়-ছোট কোনো বিষয় নয়। এটি হলো নৈতিকতার প্রশ্ন।’