ফাইল ছবি
ভারতের কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ‘চিন্ময় কৃষ্ণের সঙ্গে দূরত্ব নয়, তাঁকে সমর্থন করে ইসকন, রাত পেরোতেই নতুন বার্তা বাংলাদেশের সংগঠনের’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থনে ‘ইসকন বাংলাদেশ’ বিবৃতি দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
সেই প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসকন বাংলাদেশ জানিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থনে কোনো বিবৃতি তারা দেয়নি।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থনে বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি মিথ্য দাবি করে ইসকন বাংলাদেশ।
এদিকে আনন্দবাজারের এই ‘মিথ্যা’ তথ্য নিয়ে ভারতীয় আরো কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে।
আজ সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘চিন্ময় কৃষ্ণের অধিকার, বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং তাদের ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষার জন্য তার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে ইসকন। তার থেকে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি। আমরা শুধু একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, তিনি ইসকনের সদস্য নন। বাংলাদেশের ইসকনের প্রতিনিধিত্ব তিনি করছেন না। গত কয়েক মাসে এই কথা একাধিক বার আমরা বলেছি। ’
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই বিবৃতি প্রকাশের বিষয়ে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইসকন সংক্রান্ত একটি বিবৃতি লক্ষ্য করেছি, যা নিয়ে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে নিউজ প্রকাশিত হচ্ছে। আমরা ইসকন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি যে, এ ধরনের কোনো বিবৃতি ইসকন বাংলাদেশ প্রদান করেনি। ইসকন বাংলাদেশ সর্বদা দেশের আইন, শৃঙ্খলা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের কোনো বিবৃতি বা কার্যক্রম কখনোই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার পরিপন্থি নয়। অনভিপ্রেত বিবৃতির ভিত্তিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছে ইসকন। ’
যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রচার বা শেয়ার করতে গণমাধ্যমকে আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
এরআগে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অনেক আগেই ইসকন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছিল ইসকন বাংলাদেশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, গত ৩ অক্টোবর অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয় যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (চন্দন কুমার ধর) ইসকন বাংলাদেশের মুখপাত্র নন। তাই তার বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অতএব তার কৃতকর্মের জন্য ইসকন বাংলাদেশ কোনোভাবেই দায়বদ্ধ নয়।
গত ২৫ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন চট্টগ্রাম আদালত তার জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার জামিন আবেদন ঘিরে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিন একজন আইনজীবীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ২০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে।