সংগৃহীত
মাস দুয়েক আগের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে খেলার সময় চোটে পড়েন ট্রাভিস হেড।
জেরাল্ড কোজির শর্ট বল সোজা গিয়ে আঘাত হানে তার বাঁ হাতে। চিড় ধরা পড়ে সেখানে। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার তখনো মাসখানেকও বাকি নেই। স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার শেষ সময়ও পেরিয়ে যাচ্ছিল। হেড কি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলে থাকবেন, তেমন একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছিল।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তন এনেছে বটে। তবে ১৫ সদস্যের দলে ঠিকই টিকে যান হেড। যদিও তাকে দেশে রেখেই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে পা রাখে অজিরা। প্রথম পাঁচ ম্যাচে খেলতে হয় হেডকে ছাড়াই। ততদিনে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেনিং জুটিটা জমিয়ে ফেলেছেন মিচেল মার্শ। কিন্তু প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি সাফ জানিয়ে দেন, হেড ফিরলে ওপেনিং পজিশন থেকে সরে যেতে হবে মার্শকে।
টিম ম্যানেজমেন্টের তার প্রতি কেন অগাধ আস্থা ছিল তা হেড বুঝিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপে ফেরার প্রথম ম্যাচেই। এরপর কিছুটা নিষ্প্রভ থাকলেও সেমিফাইনাল ও ফাইনালে পুষিয়ে দেন সবটুকু। একপ্রান্ত যখন অজি টপ অর্ডারে ধস নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বুমরাহ-শামিরা। তখন আরেকপ্রান্তে আগলে রেখেছেন হেড। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধারালো হতে থাকে তার ব্যাট। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে দলকে পৌছে শিরোপার কাছে।
তাই অনুমিতভাবেই সেমিফাইনলের মতো ফাইনালে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতে। তার আগে এমন গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে সেরা হওয়ার কীর্তি আছে আরও তিনজনের। ১৯৮৩তে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের পথে নায়ক হয়েছিলেন মহিন্দর অমরনাথ। পরে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে অরবিন্দ ডি সিলভা ও ‘৯৯তে এই অর্জন ছিল শেন ওয়ার্নের।
রিকি পন্টিং, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের পর তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান ও সবমিলিয়ে সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকালেন হেড। ১২০ বলে ১৫ চার ও ৫ ছক্কায় ১৩৭ রানের ইনিংস খেলার পর বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘কী অসাধারণ দিন! এর অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত বোধ করছি। অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। ’