স্টেডিয়াম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ৯০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে। ৭৬ কোটি টাকায় পরামর্শক নিয়োগের পর চলতি মাসে এই স্টেডিয়ামের নিমার্ণ কাজ শুরুর পরিকল্পনা করেছে বিসিবি।
২০১৯ সালে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন ঘোষণা দেন পূর্বাচলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নৌকার আদলে নির্মাণ করা হবে এশিয়া অন্যতম বৃহত্তম স্টেডিয়াম। নামমাত্র মূল্যে পূর্বাচলে ৩ হাজার ৭৩৫ শতাংশ জমির ওপরে সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হবে। সেই ধারায় ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার পূর্বাচলে ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ার পপুলাসকে ৭৬ কোটি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।
প্রাথমিক ভাবে এই স্টেডিয়াম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯০০ কোটি টাকা। তবে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায়, সেই ব্যয় ঠেকেছে দেড় হাজার কোটিতে। ২০২৬ সালে এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে চায় ক্রিকেট বোর্ড। চলতি বছরের জুলাইয়ে নির্মাণকাজ শুরু করার কথা।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশনের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, 'স্টেডিয়ামের জন্য কমিটি করা আছে। কমিটির জন্য যেসব কাগজ চাওয়া হয়েছিল, তারা বিসিবির কাছে জমা দিয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে একজনকে দেয়া হবে।'
গেলো মার্চের পর আবারও বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বিসিবির নীতি নির্ধারকরা। আলোচনায় থাকবে অধিনায়ক শান্তর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। গুঞ্জন আছে তাসকিন আহমেদকে শর্টার ফরম্যাটে দায়িত্ব দেয়ার ভাবনা আছে বোর্ডের। এছাড়াও, মাসে ৩৫ হাজার ডলারে পারিশ্রমিক নেয়া হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের চুক্তি শেষের পথে। তবে, হাথুরুকে আর না রাখার পক্ষে বোর্ডের সিংহভাগ পরিচালকরা।
জালাল ইউনুস বলেন, 'কোচিং স্টাফের মধ্যে কোনো গাফিলতি আছে কি না, প্লেয়ারদের মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাপ হচ্ছে কি না তা আমাদের জানা দরকার।'
এদিক, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠলেও পারফরম্যান্স মন ভরাতে পারেনি, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তাই ক্রিকেটারদের বোনাস দেয়ার পরিকল্পনা আপাতত বাক্সবন্দি রাখতে যাচ্ছে বিসিবি।
এখন/ডেস্ক