শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

|

ফাল্গুন ৯ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

জেল প্রিমিয়ার লিগ উদ্বোধন করলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জেল প্রিমিয়ার লিগ উদ্বোধন করলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে কারাবন্দিদের অংশগ্রহণে নারায়ণগঞ্জ জেল প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়েছে।

সোমবার মানবিক ডিসি হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এর উদ্বোধন করেন।

ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখে ১ হাজার ২৪৪ জন বন্দি আনন্দে আপ্লুত হয়েছেন। চার দেয়ালের বন্দি জীবন থেকে ক্ষণিকের জন্য হলেও যেন মুক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের ১১৯৭ পুরুষ এবং ৪৭ মহিলা বন্দি। বন্দিদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত ২৫২ জন এবং বিচারাধীন বন্দি ৯৯২ জন বলে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেল সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ জানিয়েছেন, আজকে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্ধারিত জেলখানা পরিদর্শন ছিল। কিন্তু উনার বিশেষ আগ্রহেই আমরা এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছি।

এ সময়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, নারায়ণগঞ্জসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জেল সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ, জেলার মো. মামুনুর রশিদসহ অন্যান্য কারা কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম অপরাধ প্রবণতা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি কারাবন্দিদের নির্মল ও পরিচ্ছন্ন বিনোদনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

টি-১০ পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে ভাইকিংস, সাইক্লোন, অলস্টার, থান্ডার বোল্টস ও ভিক্টোরিয়ান্স নামে মোট ৫টি দল অংশগ্রহণ করবে। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী ২টি দল ফাইনালে একে অপরের মোকাবেলা করবে।

জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম খেলায় অংশগ্রহণকারী বন্দিসহ সকল বন্দিদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, কারাগার এখন আর শুধুমাত্র বন্দিশালা নয়, কারাগার হচ্ছে সংশোধনাগার। এটা ভাবতে হবে আপনারা হয়তো রাগের বশবর্তী হয়ে,ইমোশনাল হয়ে কিংবা না বুঝে অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এর প্রভাব আপনার ওপর যতটা না পড়ে, তার চেয়ে বেশি পড়ে আপনাদের পরিবার এবং সন্তানদের ওপর।

তিনি মাদকসহ অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে না জড়াতে না হওয়ার জন্য বন্দিদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, আনন্দ-বিনোদনের পাশাপাশি কারাগার কর্তৃক প্রদত্ত কর্মমূখী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হয়ে বন্দিদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরে যেতে হবে।

 তিনি এ আয়োজনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।

আরো পড়ুন